কেয়ামতের আগ পর্যন্ত যারা মুসলিম হয়েও অন্ধ জাতি হিসেবে আখ্যায়িত থাকবে allah ajab pabe j banda

3 years ago
5

আমাদের অজানা নয় যে, পৃথিবীতে এমন বহু মনিষীর আবির্ভাব ঘটেছে যারা চর্মচক্ষু দ্বারা পৃথিবীর রূপ-সৌন্দর্য অবলোকন করে নি কিন্তু তাদের হৃদয় চক্ষু ছিল এত প্রখর যে, তারা তা দ্বারা সত্য ও সুন্দরের পথ খুঁজে পেয়েছেন, নিজেরা সে পথে পরিচালিত হয়েছেন এবং বিশ্বের অগণিত মানুষকে সে আলোকিত পথের সন্ধান দিয়েছেন। তারা তাদের মেধা, জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে লাখও মানুষে অন্ধত্বকে বিদূরিত করেছেন।
বস্তুত: যারা সত্য দেখে না তারা হল, প্রকৃত অন্ধ, যারা সত্য কথা শুনে না তারা হল, প্রকৃত বোধির আর যারা সত্য কথা বলে না তারা হল, প্রকৃত বোবা।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে অন্ধত্ব, অজ্ঞতা ও ভ্রষ্টতার হাত থেকে রক্ষা করুন এবং ইসলামের চিরসত্য, উদ্ভাসিত, মহিমান্বিত ও মুক্তির অবারিত দ্বিধাহীন রাজপথ ধরে জীবন পরিচালনা করার তওফিক দান করুন। আমিন।
আল হামদুলিল্লাহ।
"অতঃপর তারা তাকে (নূহ আলাইহিস সালাম) কে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। আমি তাকে এবং নৌকাস্থিত লোকদেরকে উদ্ধার করলাম এবং যারা মিথ্যারোপ করত, তাদেরকে ডুবিয়ে দিলাম। নিশ্চয় তারা ছিল অন্ধ।" (সূরা আরাফ: ৬৪)
"তারা সত্যের ব্যাপারে ছিল অন্ধ। তারা সত্য অবলোকন করে নি এবং সত্যের পথ খুঁজে পায় নি।" (তাফসিরে ইবনে কাসির)
“বস্তুত: চোখ তো আদৌ অন্ধ নয়, কিন্তু অন্ধ হচ্ছে হৃদয় যা রয়েছে বুকের ভেতরে।” (সূরা হজ্জ: ৪৫)

“আর অন্ধ ও চক্ষুষ্মান এক সমান নয়।" (সূরা গাফির/ফুসসিলাত: ৫৮) ইমাম কুরতুবি এ আয়াতের তাফসিরে বলেন,
“অন্ধ ও চক্ষুষ্মান এক সমান নয়- এ কথার অর্থ হল, মুমিন ও কাফির এবং পথভ্রষ্ট ও হেদায়েত প্রাপ্ত এক সমান নয়।”

Loading comments...