ভন্ড মুমিনের হিন্দুধর্ম নিয়ে অপপ্রচারের যথাযথ জবাব | Hindu Consciousness | Beware of Muslim Liars

3 years ago
51

তালেবান-রুপি ভণ্ড মুমিনরা নিজেদের ধর্ম সম্পর্কে ঠিক মত না জেনেই অন্য ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার চালায় , সহজ সরল মানুষদের ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায়।
এই ভিডিওতে এমনই এক মুমিনকে বিভিন্ন ধর্মীয় Reference দিয়ে উচিত জবাব দেওয়া হয়েছে।

হিন্দুধর্মগ্রন্থে প্রতিমাপূজার নিষেধ নেই, হিন্দুরা ঈশ্বরের সাকার ও নিরাকার দুই রুপেই আরাধনা করে থাকে। নিচের

বৃহদারণ্যক উপনিষদ ২.৩.১
ঈশ্বরের (পরম ব্রহ্ম) দুটি রূপই রয়েছে - স্থুল ও সূক্ষ্ম, নশ্বর ও অবিনশ্বর, সীমাবদ্ধ ও সীমাহীন, নিরাকার (অসম্ভূত) ও সাকার (সম্ভূত)।

এছাড়াও গীতা থেকে আমরা পাই-
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা অধ্যায় – ১১ –
শ্লোক – ৪৭:
শ্রীভগবানুবাচ-
ময়া প্রসন্নেন তবার্জুনেদং
রুপং পরং দর্শিতমাত্মযোগাৎ।
তেজোময়ং বিশ্বমনন্তমাদ্যং
যস্মে ত্বদন্যেন ন দৃষ্টপূর্বম্।।৪৭।।
অনুবাদঃ শ্রীভগবান বললেন- হে অর্জুন! আমি প্রসন্ন হয়ে তোমাকে আমার অন্তরঙ্গা শক্তি দ্বারা জড় জগতের অন্তর্গত এই শ্রেষ্ট রূপ দেখালাম। তুমি ছাড়া পূর্বে আর কেউই এই অনন্ত , আদি ও তেজোময় রূপ দেখেনি।
শ্লোক – ৫১:
অর্জুন উবাচ-
দৃষ্ট্বেদং মানষং রূপং তব সৌম্যং জনার্দন।
আদানীমস্মি সংবৃত্তঃ সচেতাঃ প্রকৃতিং গতঃ।।৫১।।
অনুবাদঃ অর্জুন বললেন- হে জনার্দন! তোমার এই সৌম্য মানুষরূপ দর্শন করে এখন আমার চিত্ত স্থির হল এবং আমি প্রকৃতিস্থ হলাম।
শ্লোক – ৫২:
শ্রীভগবানুবাচ
সুদুর্দশমিদং রূপং দৃষ্টবানসি যন্মম।
দেবা অপ্যস্য রূপস্য নিত্যং দর্শনকাঙ্ক্ষিণঃ।।৫২।।
অনুবাদঃ পরমেশ্বর ভগবান বললেন- তুমি আমার যে রূপ এখন দেখছ তা অত্যন্ত দুর্লভ দর্শন। দেবতারাও এই রূপের সর্বদা দর্শনাকাঙ্ক্ষী।

Loading comments...