উত্তর কলকাতার প্রাচীন মন্দির আনন্দময়ী কালী মন্দির #onedayouting #travelvlog #weekendtrip #নিমতলা

1 year ago

আনন্দময়ী কালীমন্দির কলকাতার নিমতলা অঞ্চলের একটি প্রসিদ্ধ কালীমন্দির। এটি নিমতলা ঘাট স্ট্রিট ও স্ট্র্যান্ড রোডের সংযোগ স্থলে ৮৭, নিমতলা ঘাট স্ট্রিটে অবস্থিত। বিশ্বাস নিমতলা শ্মশানে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার আগে এই মন্দিরে চরণামৃত পান করানো হয়। তাহলে আত্মা স্বর্গে যায়।
জগন্নাথ নামে একজন লোক খড়ের ব্যবসা করতেন। জগন্নাথ কালী মন্দিরের মহন্তের ভক্ত ছিলেন। মৃত্যুর সময় মহন্ত ঠাকুর জগন্নাথের হাতে আনন্দময়ীর সেবার ভার দিয়ে যান। জগন্নাথের আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না। তাই তিনি নারায়ণ মিশ্র নামে এক অবস্থাপন্ন ব্রাহ্মণকে এই কালীস্থান ও পার্শ্বস্থ জমি বিক্রি করে দেন। নারায়ণ বাবু ঘোর শাক্ত ছিলেন। তিনি দেবীর নিত্যপূজা ও সেবার ব্যবস্থা করেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর বড় ছেলে হরদেব মিশ্র মায়ের সেবায়েতের কাজ করেন। হরদেবের মৃত্যুর পর তাঁর ভাগ্নে নিমতলার জমিদার মাধবচন্দ্র বন্দোপাধ্যায় উত্তরাধিকার সূত্রে এই মন্দিরের সেবায়েতের ভার পান। মাধবচন্দ্রের মৃত্যুর পর শিবকৃষ্ণ বন্দোপাধ্যায় মায়ের সেবার ভার পান। সেই থেকে বন্দোপাধ্যায় পরিবার মন্দিরের সেবাকার্য পরিচালানা করে আসছেন।

বর্তমান মন্দিরটি একটি দোতলা দালান শ্রেণীর। গর্ভগৃহের সামনে চাঁদনি আকৃতির গাড়ি বারান্দা। প্রথমে আনন্দময়ী একটি পর্ণ কুটিরের মধ্যে থাকতেন। বন্দোপাধ্যায় পরিবার বর্তমান মন্দির নির্মাণ করে দেন। মন্দিরের আদি বিগ্রহটি ছিল শ্মশানকালীর। সেটি ছিল মাটির মূর্তি। বত্তমান মূর্তিটি দক্ষিণাকালীর। এটি কষ্টিপাথরে তৈরী। মূর্তিটির উচ্চতা ৬০ সে.মি.। পঞ্চমুন্ডির আসনের উপর স্থাপিত রুপোর সিংহাসনে মূর্তি প্রতিষ্ঠিত।
কলকাতা থেকে চক্ররেলে শোভাবাজার আহিরীটোলা পৌঁছনো যায়। এরপর সেখান থেকে হেঁটে এই মন্দিরে যাওয়া যায়।

#onedayouting #travelvlog #onedaytrip #weekendtrip #weekendvlog #weekendtripfromkolkata #নিমতলা #আনন্দময়ীকালীমন্দির

Loading comments...