বজ্রপাত হয় কেনো...???

1 year ago
1

অনেক মানুষের ধারণা "মেঘে মেঘে ঘর্ষণের ফলে বজ্রপাত সৃষ্টি হয়", কিন্তু এই ধারণাটা ভুল,,, চলুন আজ জেনে নেই বজ্রপাতের আসল কারণ...!!!

ভূ-পৃষ্ঠের পানি যখন বাষ্প হয়ে উপরের দিকে উঠতে থাকে তখন মেঘের নিচের দিকে ভারী অংশের সাথে জলীয়বাষ্পের সংঘর্ষ হয়। এর ফলে অনেক জলকণা ইলেকট্রন ত্যাগ কৃত হয়ে ধনাত্মক চার্জ এ পরিণত হয় এবং অনেক জলকণা সে ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক চার্জে পরিণত হয়। 

ডিসচার্জ প্রক্রিয়া ৩ ভাবে হয়ে থাকে। যথা -
১)- একই মেঘের ধনাত্মক ও ঋণাত্মক চার্জ এর মধ্যে।
২)- একটি মেঘের ধনাত্মক চার্জ এর সাথে অন্য মেঘের ঋণাত্মক, আবার অন্য মেঘের ধনাত্মক চার্জ এর সাথে ওই মেঘের ঋণাত্মক চার্জ এর মধ্যে।
৩)- মেঘের পজেটিভ আধানের ও ভূমির মধ্যে (একে ক্লাউড টু গ্রাউন্ড ডিসচার্জিং বলে)।

এ চার্জিত জলীয় বাষ্প মেঘে পরিণত হলে মেঘে বিপুল পরিমাণ স্থির তড়িৎ উৎপন্ন হয়। এ সময় অপেক্ষাকৃত হালকা ধনাত্মক আধান মেঘের উপরে এবং অপেক্ষাকৃত ভারী ঋণাত্মক চার্জ নিচে অবস্থান করে। মেঘে এই ২ বিপরীত চার্জের পরিমাণ যথেষ্ট হলে ডিসচার্জ প্রক্রিয়া শুরু হয়। 

ডিসচার্জিং এর ফলে বাতাসের মধ্য দিয়ে বৈদ্যুতিক স্পার্ক প্রবাহিত হয়। এ বৈদ্যুতিক স্পার্ক এর প্রবাহই ‘বজ্রপাত’। কিন্তু সব বজ্র ভূপৃষ্ঠে পড়ে না। শুধু ক্লাউড টু গ্রাউন্ড ডিসচার্জিং এর ফলে সৃষ্ট বজ্রই ভূপৃষ্ঠে পড়ে।’

এখন প্রশ্ন আসতে পারে- বায়ু বিদ্যুৎ অপরিবাহী, তাহলে বৈদ্যুতিক স্পার্ক এর ভিতর দিয়ে কিভাবে প্রবাহিত হয়?

উত্তর হচ্ছে : বাতাস বিদ্যুৎ অপরিবাহী এটা ঠিক, তবে মেঘে থাকা স্থির তড়িৎ প্রায় ১০ মিলিয়ন ভোল্ট পর্যন্ত শক্তি উৎপন্ন করে, যা বাতাসের একটি অংশকে আয়নিত করে। এই আয়নিত পরিবাহী অংশ দিয়ে চার্জ প্রবাহিত হয়।

পরিশেষে একটা কথা, বজ্রপাতে সময় কেউ বাইরে যাবেন না,,, বিদ্যুতের খুঁটি, নেটওয়ার্ক টাওয়ার, লৌহ বস্তু এবং গাছের থেকে দূরে থাকুন...!!! ঘরের সকল বৈদ্যুতিক চালিত যন্ত্র এবং বিদ্যুৎ সংযোগ কিছুক্ষণ বন্ধ রাখুন...!!!

Loading comments...