ll একটি জীবনের গল্প যা আপনাকে ভাবতে শেখাবে! ডাঃ ইয়েপুরি হর্ষবর্ধন / এক জীবন্ত প্রেমকথা ll

1 year ago
1

জীবন মৃত্যু পায়ের ভৃত্য, কেউ কেউ সত্যিই মৃত্যুকে ভয় পায় না, শেষ দিন অবধি তার সাথে চোখে চোখ রেখে কথা বলে, তারপর তাকে আলিঙ্গন করে নেয়। এমনই একজন মানুষ ডাঃ ইয়েপুরি হর্ষবর্ধন। তেলেঙ্গানার এই ডাক্তার প্র্যাকটিস করতেন অস্ট্রেলিয়াতে। 2020তে ধুমধাম করে বিয়ে হয়। যদিও সেই সুখ তার জীবনে খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ঐ বছরই অক্টোবর মাসে জানতে পারেন তিনি ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত। চিকিৎসকরা জানালেন আর বেশি সময় হাতে নেই। হর্ষবর্ধনের শরীর ভাঙতে লাগলো, তিনি অন্য পাড়টা দেখতে পাচ্ছিলেন। কিন্তু এই লোকটা যে অন্য ধাতুতে গড়া।
এই খবর তিনি পরিবারের সবাইকে জানান এবং মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে বলেন। স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন। তাকে সব রকম ভাবে সাহায্য করেন যাতে সে এক নতুন জীবন শুরু করতে পারে, নিজে নিজের মতো করে বাঁচতে পারে। মন চাইলেও শেষ কটা দিন তিনি মা বাবার কাছে ফিরতে পারলেন না। কারণ চিকিৎসার খরচ ইন্সুরেন্স থেকে পাচ্ছিলেন,দেশে ফিরলে সেটা পেতেন না। সবাই থাকলেও তিনি একা।

ডাঃ হর্ষবর্ধন নিজের যাবতীয় চিকিৎসার খরচ নিজেই বহন করেন। এমনকি মারা যাওয়ার পর নিজের মৃতদেহ দেশে বাবা মায়ের কাছে ফেরানোর অনুমতি জোগাড় করেন, প্লেনের টিকিট কাটেন, নিজের কফিনও কেনেন।
২৩ মার্চ, মারা যাওয়ার আগের দিন স্থানীয় এক আশ্রমে যান, যেখানে তিনি নিয়মিত দাতব্য চিকিৎসা করতেন। আবাসিকদের জানান, তিনি খুব তাড়াতাড়ি এক না ফেরার দেশে যাবেন। তাদেরকে তিনি মিস্ করবেন। ২৪ মার্চ।মারা যাওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে বন্ধুদের সঙ্গে ব্রেকফাস্ট করেন। যারা সেখানে উপস্থিত হতে পারেননি তাদের সাথে ফোনে বলেন। তারপর ঘুমিয়ে পড়েন। আর ওঠেননি।

ডাক্তার হর্ষবর্ধন উদাহরন স্থাপন করলেন মৃত্যুকে কিভাবে বরণ করতে হয়। আনন্দ সিনেমার রাজেশ খান্নার চরিত্র শুধু রিল লাইফে নয় রিয়েল লাইফেও আছে। আমাদের মধ্যেই কেউ কেউ বলে, মৌত তু এক কাভিতা হ্যায়...

#fact #amazingfact #trending #viral #স্পন্দন #ইয়েপুরি_হর্ষবর্ধন

Loading comments...