শিশু কন্যা আয়াতের লাশ উদ্ধার | pbi report

2 years ago
1

শিশু কন্যা আয়াতের লাশ উদ্ধার | pbi report
 টুকরো করে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয় শিশু আয়াতের লাশ

নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকা থেকে আলিনা ইসলাম আয়াতের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এলাকার আকমল আলী রোড থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘মূলত মুক্তিপণ আদায়ের জন্য শিশু আয়াতকে হত্যা করা হয়েছে।’  

জানা গেছে, আয়াত স্থানীয় তালীমূল কোরআন নূরানী মাদরাসার হেফজখানার ছাত্রী ছিল। গত ১৫ নভেম্বর আয়াতকে অপহরণ করে আবির আলী নামে ১৯ বছর বয়সী এক তরুণ। আবিরদের পরিবার একসময় আয়াতদের বাসায় ভাড়া থাকতো। 
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, আবির আলী মানসিক বিকারগ্রস্ত এক তরুণ। টিভিতে নিয়মিতভাবে ‘ক্রাইম পেট্রোল’ ও ‘সিআইডি’ জাতীয় সিরিয়াল দেখার কারণে তার মধ্যে অপরাধ প্রবণতা তৈরি হয়। মূলত মুক্তিপণের জন্য সাবেক বাড়িওয়ালার ৪ বছর ৯ মাস বয়সী কন্যা শিশুটিকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করে সে। ১৫ নভেম্বর বিকালে আয়াতকে অপহরণ করে একটি বাসায় নিয়ে হত্যা করে আবির। এরপর লাশ প্যাকেটে মুড়ে আরেকটি বাসায় নিয়ে ৬ টুকরো করে। সেই টুকরোগুলো তিনটি প্যাকেটে ভরে ফেলে দেয় খালের স্লুইচগেটে। 

জানা গেছে, আয়াতকে হত্যার পর গত কয়েকদিন পুরোপুরি স্বাভাবিক আচরণ করেছে আবির। তার মধ্যে কোনো ধরনের অস্থিরতা দেখা যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করার পর আবিরকে বৃহস্পতিবার আটক করে পিবিআই। এরপর সে হত্যার কথা স্বীকার করে। 

সাগরের যে অংশ মরদেহ ফেলা হয়েছিল, আজ সকালে ভাটার সময় সেখানে অভিযান চালায় পিবিআই। ছবি: সংগৃহীত

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, মুক্তিপণ আদায়ের জন্য আয়াতকে অপহরণের চেষ্টা করলে সে চিৎকার দেয়। এসময় শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ স্লুইচগেটের কাছে পানিতে ফেলে দেয় আবির। 

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১, হাসপাতালে ভর্তি ২২১

উল্লেখ্য, দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানা ও সাহিদা আক্তার তামান্না দম্পতির মেয়ে আয়াত গত ১৫ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় আয়াতের বাবা সোহেল রানা সেদিন রাতে ইপিজেড থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পেশায় মুদি দোকানদার সোহেল রানা ঐ এলাকায় একটি তিনতলা ভবনের মালিক। ঐ বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে পরিবার নিয়ে থাকতো আবিরের বাবা আজহারুল ইসলাম। একসময় আবির পোশাক কারখানায় চাকরি করলেও গত ছয় মাস ধরে বেকার ছিল।

Loading comments...