ll দুধে ভেজাল চেনার ঘরোয়া সহজ উপায়গুলো জেনে রাখুন ll দুধের ভেজাল চেনার উপায় ll

2 years ago
1

#স্পন্দন #দুধের_ভেজাল_চেনার_ঘরোয়া_উপায় #ভেজাল_দুধের_ক্ষতি

দুধে ভেজাল

আমরা নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার কিনতে ছোট দোকানদার থেকে বড় বড় শপিং মলের উপর নির্ভর করি। বর্তমানে অনলাইনে কেনাকাটাও অনেকে করে থাকেন। কিন্তু, যে সমস্ত খাদ্য সামগ্রী আমরা কিনে থাকি তার গুণমান নিয়ে আমরা নিজেরাই যথেষ্ট সন্দিহান। তাই আমরা কখনও কখনও বেশি দাম দিয়ে জিনিস কিনতে পিছপা হই না। কিন্তু আমরা বুঝব কী করে যে আমরা যে সমস্ত জিনিসপত্র ক্রয় করছি তা গুনমানে সঠিক। আমরা আলোচনা করব এই সব নিয়েই। আজ আমাদের আলোচনা হল দুধে ভেজাল নিয়ে।
আসুন দেরি না করে শুরু করা যাক ভিডিওটি।

দুধে কী কী মেশানো হয় তা আগে জেনে নিই। সাধারণত সবাই জানেন যে খুব প্রচলিত ধারণা সবার যে দুধে জল মেশানো হয়।
1) দুধে জল: থালা কাত করে রেখে এক ফোঁটা দুধ ফেলুন। দুধের ফোঁটা গডিয়ে পড়ার সময় আর লেজের মতন যে দাগ রেখে গড়াবে, তা দেখে জল মেশানো আছে কি না বোঝা যায়। একটু অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। সঠিক জানতে হলে, ল্যাক্টোমিটার লাগবে। কলেজস্ট্রিটে ল্যাক্টোমিটার কিনতে পাওয়া যায়। দাম 100 টাকার নীচে।
2) দুধে জল মেশানোর পর পাতলা দুধ গাঢ় করতে অ্যারারুট জাতীয় পাউডার স্টার্চ মেশানো হয়। একটু দুধে এক ফোঁটা টিংচার আয়োডিন বা বিটাডাইন লোসান মেশালে যদি নীল রঙ আসে তাহলে বুঝতে হবে স্টার্চ মেশানো আছে।
3) দুধে ডিটার্জেন্ট বা কস্টিক সোডা মেশানো হয়। যে কোনো ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে দুধ ক্ষারীয় কিনা বোঝা যায়। হলুদ এরকম একটা ঘরোয়া ইন্ডিকেটর। দুধে হলুদগুঁড়ো মেশান। লাল বা লালচে রঙ হলে দুধ ক্ষারীয়।
4) অনেক সময় কৃত্রিম দুধ তৈরি করা হয়। তাতে আদৌ দুধ থাকে না। এই বানানো দুধের অপরিহার্য উপাদান কস্টিক সোডা ও ডিটার্জেন্ট। ফলে ইন্ডিকেটর দিয়েই পরীক্ষা সম্ভব।
5) এছাড়াও দুধে কীটনাশক, অ্যান্টিবায়োটিক ইত্যাদি থাকে। সেগুলো ঘরোয়া পদ্ধতিতে ধরা সম্ভব নয়।

ঘরোয়া উপায়ে এই হল দুধে ভেজাল ধরার উপায়।

Loading comments...