ll জঙ্গলেশ্বর শিব মন্দির, কলকাতা, দমদম নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু এয়ারপোর্ট / বাড়ির পাশেই ( পর্ব ১৩) ll

2 years ago
4

"দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ঘাসের আগার উপর
একটি শিশির বিন্দু"
------ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
তাই আমরা 'টোটো কোম্পানি'র তরফে শুরু করেছি নতুন এপিসোড 'বাড়ির কাছেই'। যেখানে খুব কম খরচে একদিনে বা একবেলায় ঘুরে আসা সম্ভব। আর তাছাড়া বাড়ির কাছেই এই বিন্দু বিন্দু মুক্তকণা সংরক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আপনাদের নতুন নতুন অজানা জায়গার সন্ধান আমরা দেবই বাড়ির আশেপাশে, যেগুলো এখনো ততটা পরিচিত নয় সকলের কাছে। তাই চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকের পর্ব! আজ ত্রয়োদশ পর্ব। গন্তব্য ' জঙ্গলেশ্বর মন্দির, কলকাতা এয়ারপোর্ট'!

কলকাতা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু বিমানবন্দরে অনেকেই হয়ত প্রয়োজনে গেছেন, কিন্তু কখনো কি এই বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় এক প্রাচীন মন্দিরে গেছেন কখনো? এই মন্দিরের স্থাপত্যকর্ম তেমন নজর না কাড়লেও এর প্রাচীনত্ব এবং ইতিহাস যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য।
1924 সালে দমদমে কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্বোধন হয়। আর তার পাশেই ঝিলের ধারে একটি উঁচু জমিতে, যা তখন জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল, সেখানে তৎকালীন জমিদার মনীন্দ্র চৌধুরী তাঁরই এলাকার অংশে এক শিবলিঙ্গের দর্শন পান এবং এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন। জঙ্গলে পাওয়া যায় বলে নামকরণ হয় জঙ্গলেশ্বর শিব। এই মন্দিরের প্রথম পুরোহিত ছিলেন শিব মঙ্গল পান্ডে।তিনি চোখে দেখতে না পেলেও প্রায় পঞ্চাশ বছর নিষ্ঠার সঙ্গে পুজোয় কোন খামতি ছিল না। সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে মন্দিরের সংস্কার করা হয়। বর্তমানে এটির সঙ্গে প্যাগোডার অনেকটা মিল আছে। মন্দিরের চূড়ায় ওঁ রয়েছে।

এই মন্দিরের উন্নয়নকল্পে প্রখ্যাত গুলশন কুমার ও খ্যাতনামা গায়িকা অনুরাধা পারোয়াল অনেক সাহায্য করেছেন। সেটা মন্দিরের গায়ে লেখাও আছে। তাঁরা প্রায়ই এখানে আসতেন। শিবচতুর্দশীর রাতে প্রতি বছর তাঁরা বিশেষ অনুষ্ঠান করতেন যেখানে বোম্বে থেকে বিখ্যাত বিখ্যাত আর্টিস্ট আনতেন।

আপনারা যারা আসতে চান, তাদের জন্য একটা তথ্য, মন্দির খোলা থাকে সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত, আর বিকাল চারটা থেকে রাত নটা পর্যন্ত।

#জঙ্গলেশ্বর_শিব_মন্দির #কলকাতা #দমদম_নেতাজি_সুভাষ_চন্দ্র_বসু_এয়ারপোর্ট #বাড়ির_পাশেই

Loading comments...